নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কামরুল হাসান রিপন ৩০ হাজার খাদ্য সামগ্রী ও ২০ হাজার রোজাদারের মধ্যে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। এ কারনে রিপন ঢাকা-৫ আসন তথা ঢাকা মহানগর দক্ষিণের ‘ত্রাণ কর্তা’ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। এখন সাধারণ মানুষের মুখে মুখে প্রতিধ্বনি হচ্ছে ঢাকা-৫ আসনের মানুষের ত্রান কর্তা কর্তা হচ্ছেন কামরুল হাসান রিপন।
জানা যায়, চলমান মহামারী করোনা ভাইরাস সংক্রমণের প্রথম থেকে মহানগর দক্ষিণের বিভিন্ন থানায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের পক্ষ থেকে কর্মহীন মানুষের ১৫ হাজার পরিবারের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন কামরুল হাসান রিপন। এড়াও তিনি করোনা ভাইরাস সংক্রমণের শুরু থেকে ঢাকা-৫ আসনের অসহায় ৯ হাজার পরিবারের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন। এর মধ্যে মাহে রমজান শুরু হলে ডেমরা, যাত্রাবাড়ী ও কদমতলী থানার বিভিন্ন ওয়ার্ড এবং পুরান ঢাকার লালবাগ, গেন্ডারিয়া, সূত্রাপুর ওয়ারী এলাকায় পুরো ৩০ রমজান নিয়মিত ২০ হাজার রোজাদার পরিবারের মধ্যে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করেন তিনি।
এরই মধ্যে আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঢাকা-৫ আসনের ৬ হাজার অসহায় পরিবারের মধ্যে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করেন রিপন। ঈদ সামগ্রীতে প্রতিটি পরিবারের জন্য দেওয়া হয়- ১০ কেজি চাল, ১ কেজি ডাল, ২ কেজি আলু, ১কেজি পিয়াজ, ১ লিটার তেল, ১ কেজি চিনি, ১ কেজি সেমাই,১টি করে বড় মুরগী, হ্যান্ড স্যানিটাইজার এবং ইফতার সামগ্রী ।
এ প্রসঙ্গে কামরুল হাসান রিপন বলেন, করোনা ভাইরাস সংক্রমণের প্রথম থেকে ঢাকা-৫ আসনে এবং মহানগর দক্ষিণের বিভিন্ন থানায় স্বেচ্ছাসেবক, লীগের উদ্যোগে নিয়মিত ত্রাণ দিয়ে আসছি। এতে আমরা ঢাকা মহানগর দক্ষিণের ওয়ারী, গেন্ডারিয়া,সূত্রাপুর,লালবাগ, মতিঝিল ও শান্তিনগরসহ বিভিন্ন এলাকায় ১৫ পরিবারের মধ্যে ত্রাণ উপহার দিয়েছি এবং ঢাকা-৫ আসন আমার নিজের এলাকায় মানুষের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী দিয়েছি ৯ হাজার পরিবারের মধ্যে। এড়াও ঢাকা-৫ আসনে ৬ হাজার পরিবারের মধ্যে ঈদ উপহারও দিয়েছি এবং রোজা শুরুর প্রথম দিন থেকে পুরো ৩০ রমজান রোজাদারদের মধ্যে ইফতার দিয়ে প্রতিদিন। এতে প্রায় ২০ হাজার পরিবারকে ইফতার দিতে পেরেছি আমরা। এখন মানুষের কাজ কর্ম না থাকায় বেকার হয়ে পড়েছেন। এ জন্য সাধারণ মানুষের খাদ্য সামগ্রী কেনার সামর্থ্য হারিয়ে ফেলেছেন। তাই আমাদের সকলের উচিৎ এই মানুষ গুলোর পাশে দাঁড়ানো।