ফুলবাড়িয়া (ময়মনসিংহ) থেকেঃ ফুলবাড়িয়া উপজেলার বাকতা ইউনিয়নের তালতলা বাজার সংলগ্ন রাইস মিলের জলন্ত ছাইয়ের আগুনে পুড়ে আরাফাত হোসেন মারা গেঠে। টানা ছয় দিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে রোববার সকালে তার মৃত্যু হয়। সকালে মোবাইল ফোনে শিশু আরাফাতের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে আরাফাতের মামা জামাল উদ্দিন। বাক্তা ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামের আরাফাত হোসেন পাশ্ববর্তী কৈয়ের চালা গ্রামের সিএনজি চালক আয়নাল হকের ছেলে ।
মামা জামাল উদ্দিন জানায়, স্থানীয় চালকল কালাম সরকারের রাইস মিল থেকে রাতের আঁধারে আগুনসহ ছাই রাস্তার পাশে ফেলে যায়। গত সোমবার বিকেলে নানার বাড়িতে বেড়াতে এসে রাস্তার পাশে জলন্ত ছাইয়ে তার ভাগ্নে আরাফাত খেলতে গিয়ে তার শরীরের নীচের অর্ধেক পুড়ে যায়। আরাফাতের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় মচিমহ হাসপাতাল থেকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের ওয়ার্ড সদস্য সুরুজ বাঙ্গালী অভিযোগ করেন, সরকার অটো রাইস মিল কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী আরাফাত হোসেন (১১) হাসপাতালে অসহ্য যন্ত্রণা নিয়ে মারা গেলো ।
মিল মালিক আবুল কালাম সরকার জানান, প্রতিবছর একবার মিল থেকে ছাই অন্যত্র সরানো হয়। মিলের ছাই সড়কে ফেলার বিষয়ে তিনি বলেন, বিষয়টি তার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখার কথা বলেন তিনি।
স্থানীয় চেয়ারম্যান ফজলুল হক মাখন বলেন, মিলের ছাই ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ফেলে রাখা নতুন কিছু নয়। সড়কের পাশে ছাই ফেলতে নিষেধ করেছি। মিল মালিক প্রভাবশালী হওয়ায় আমার কথায় কর্ণপাত করেন না।
ফুলবাড়িয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশরাফুল সিদ্দিক জানায়, ঘটনাটি খুব মর্মান্তিক। খোঁজ নিয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।