নাহিদা সুলতানাঃ আপাতভাবে এই দুটো নামই অধিকাংশের কাছেই বেশ লোভনীয় খাবার বলে পরিচিত। এই খাবারগুলির প্রতি ভালোবাসা আবার কোনো বয়স মানে না। তাই নারী-পুরুষ-ছোট-বড়ো নির্বিশেষে এর প্রতি আকৃষ্ট হয়। চিপস, চকোলেট আর বেকারি প্রোডাক্টে আপনারও যদি এমন আসক্তি থাকে তাহলে এখুনি সাবধান হয়ে যান।
নতুন এক গবেষণায় জানা গিয়েছে একটি নতুন রোগের নাম। সেই রোগটি এই খাবারগুলির ক্রমাগত গ্রহণের ফলে হতে পারে। এর নাম “লিকি গাট সিনড্রম”। ইঁদুর জাতীয় প্রাণীর উপরে গবেষণা করে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন গবেষকরা।
তাপ দিয়ে যখন কোনো প্যাকেটজাত খাবার তৈরি করা হচ্ছে, তখন তাতে কিছু ক্ষতিকর রাসায়নিক দেওয়া হচ্ছে। অ্যাডভান্সড গ্লাইসেশন এন্ড প্রোডাক্টস বা এজিইএস নাম পরিচিত এই রাসায়নিকগুলির উপস্থিতির ফলেই সেদ্ধ, রোস্ট, ভাজা খাবারগুলির স্বাভাবিক গন্ধ ও স্বাদ পাল্টে যায়। এই রাসায়নিক শরীরে যখন আমাদের শরীরে প্রবেশ করে তখন মাইলার্ড বিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। এর ফলে কিডনির নানা সমস্যা ও শরীর ফুলে যাওয়ার সমস্যাও হতে পারে।
তবে চিন্তার কিছু নেই। সমস্যা যখন আছে তখন তার সমাধানও রয়েছে। অন্ত্র এবং কিডনি দুটোকেই ভালো রাখতে স্টার্চ ফাইবার যুক্ত খাবার খেতে হবে বেশি করে। তাই ফাইবার সমৃদ্ধ কালো বিন, ওটস, বার্লি, মটরশুঁটি, রান্না করা ঠাণ্ডা ভাত, বিন, ডাল, কাঁচা আলুর স্টার্চ, রান্না করা ঠাণ্ডা আলু ইত্যাদি রাখুন এই গরমে আপনার রোজকার ডায়েটে। বাড়িতেই এগুলি বানিয়ে খেতে চেষ্টা করবেন।
একটা জিনিস মাথায় রাখবেন যে কোনো নতুন কিছুকে অমনিয়ে নিতেও সময় লাগে। তাই ডায়েটারি পরিবর্তন বেশিদিন ধরে মেনে চলা বা সহজে সেটাকে রুটিনে রাখাটাও কঠিন। কিন্তু ডায়েটে স্টার্চ দেওয়া খাবার যত বেশি পরিমাণে থাকবে তত আমাদের শরীরের জন্য সেটা ভালো ফল দিতে সক্ষম হবে।
সেদ্ধ ও রান্না করা স্টার্চ আজ থেকেই সামিল করুন আপনার ডায়েটে। স্টার্চযুক্ত খাবার অন্ত্রে ভালো ব্যাকটিরিয়াদের জীবিত রাখে যার ফলে মেটাবোলিজম বাড়ে ও কিডনিও থাকে সুস্থ।