পল আহম্মেদঃ বানরের দল এই গাছ দেখলে এলাকা ছেড়ে পালায়। আর সেই বানর থেকেই যে জীব ভদ্র হয়ে নিজেদের মানুষ বলে পরিচয় দিচ্ছে তাঁদের কাছে ব্যাপক উপকারী এই গাছ। সর্দি থেকে , পেটের সমস্যা থেকে হাজারও সমস্যার সমাধান এই গুল্ম জাতীয় গাছ। আলকুশি।
আলকুশি একটি ধরণের গুল্ম জাতীয় গাছ। শিম পরিবারের এই উদ্ভিদ। ফল অনেকটা শিমের মতো, ৪ থেকে ৬টি বীজ থাকে। শুকনো ১০০টি বীজের ওজন হচ্ছে ৫৫-৮৫ গ্রাম। এবং বীজগুলো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র লোম দ্বারা আবৃত থাকে যা সহজেই পৃথক হয়ে যায়। এগুলি ত্বকের সংস্পর্শে এলে প্রচণ্ড চুলকানি সৃষ্টি করে। বানরের সঙ্গে এদের সম্পর্ক হল, যখন আলকুশি ফল পুষ্ট হতে থাকে তখন চুলকানির ভয়ে বানরের দল ঐ এলাকা ছেড়ে চলে যায়, কারণ এর হুল বাতাসেও ছড়িয়ে পড়ে। বানরেরা ফিরে আসে যখন মাটিতে ফল পড়ে যায়। সেগুলো তারা খায় বিশেষ দৈহিক কারণে।
আলকুশী একটি ওষুধী গাছ। এর রয়েছে অনেক গুণ। এ গাছ ব্যবহার করে নানাবিধ অসুখ থেকে আরোগ্য লাভ করার সুয়োগ রয়েছে।
১) কোন পোকামাকড়ের কামড়ে বা বিছের দংশনে আলকুশীর বীজের গুড়া লাগালে অনেকাংশ যন্ত্রণা কমে যায়।
২) এর শিকড়ের রস এক চামচ করে একমাস খেলে আমাশয় রোগ সারে।
৩) আলকুশীর পাতার রস ফোঁড়ায় দিলে অচিরেই সেটি ফেটে যায়।
৪) এর বীজ চিনি ও দুধসহ সেদ্ধ করে খেলে বাত রোগের উপশম হয়, শারীরিক দুর্বলতা দূর হয়, শুক্র বৃদ্ধি গাঢ় হয় এবং স্নায়বিক দুর্বলতা দূর করে।
৫) এর শিকড়ের রসে জ্বর, সর্দি-কাশি ভালো করে।